বর্তমানে বিশ্বে আউটসোর্সিং তালিকায় বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে

বর্তমানে বিশ্বে আউটসোর্সিং তালিকায় বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে। এখানে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচ লাখ কাজ করেন মাসিক আয়ের ভিত্তিতে। বেসিস সফটএক্সপো ২০১৮–এর দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সেলিব্রিটি হলে ‘ফ্রিল্যান্সার কনফারেন্স’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

সেমিনারে ফ্রিল্যান্সিং খাতের বিভিন্ন অবস্থা তুলে ধরেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। উপস্থিত ছিলেন ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আরফান আলী, গুগল লোকাল গাইডস কমিউনিটি মডারেটর সুমাইয়া জাফরিন চৌধুরিসহ বিভিন্ন খাতের ব্যক্তিরা।
সৈয়দ আলামাসকবীর বলেন, শুধু ফ্রিল্যান্সার হলেই শর্ত সাপেক্ষে বেসিস সদস্য হওয়া সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিংকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিলে তা তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। সরকার স্টার্টআপদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। ব্যাংকও এ খাতে কাজ করছে। অর্থাৎ বাজার তৈরি আছে। বেসিস থেকে ফ্রিল্যান্সারদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের সুবিধা দিতে বেসিসের সঙ্গে মিলে স্বাধীন নামে প্রি–পেইডকার্ড চালু করা হয়েছে। এ কার্ডের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা বিদেশ থেকে দেশে লেনদেন করতে পারবেন। আউটসোর্সিং এখন বাংলাদেশ তরুণদের কাছে দারুণ একটি ক্যারিয়ার হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে। দেশি তরুণেরা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে যে–কেউ ফ্রিল্যান্সার হতে পারে। তবে কাজে দক্ষ হয়ে তবে এ পেশায় আসা উচিত। দেশে বিল্যান্সার নামে একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট রয়েছে। এ ছাড়া পেওনিয়ার ফ্রিল্যান্সারদের আন্তর্জাতিক অর্থপ্রাপ্তিতে দারুণ কাজ করছে। ফ্রিল্যান্সারদের উৎসাহ দিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকার।

Comments

Popular posts from this blog

CLASSIFICATION BASED ON SIZE AND CAPABILITY